ক্রিমের ঘি হলো দুধের ক্রিম থেকে প্রক্রিয়াজাতকৃত এক ধরনের বিশুদ্ধ ঘি। এটি ভারতীয় উপমহাদেশে একটি প্রাচীনকালীন খাবার, যা খাদ্য, ঔষধ ও রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ক্রিমের ঘি এর বৈশিষ্ট্য:
- উচ্চ পুষ্টিগুণ: এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে থাকে, যা শরীরের পুষ্টির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- স্বাদ ও ঘ্রাণ: ক্রিমের ঘি এর স্বাদ ও ঘ্রাণ অতুলনীয়। এটি খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ যোগ করে।
- উচ্চ ধোঁয়া পয়েন্ট: এটি উচ্চ তাপমাত্রায় পোড়ে না, তাই রান্নায় ব্যবহার করার জন্য এটি আদর্শ।
- স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: এতে স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
ব্যবহার:
- রান্নায়: পোলাও, বিরিয়ানি, ভাজি, নান, রুটি ইত্যাদির সাথে।
- স্বাস্থ্যগত উপকারিতা: হজমশক্তি বাড়াতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, এবং আঘাত সারাতে।
- ঔষধি গুণ: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হয়, যেমন শীতকালে ঠাণ্ডা ও কাশি নিরাময়ে।
প্রস্তুত প্রণালী:
ক্রিমের ঘি তৈরির জন্য দুধের ক্রিম প্রথমে জ্বাল দিয়ে দানাদার করা হয়। এরপর মাখন আলাদা করে নিয়ে সেটি ধীরে ধীরে গলিয়ে ঘি তৈরি করা হয়।
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:
- পাচনতন্ত্রের সহায়ক: ক্রিমের ঘি হজমের প্রক্রিয়া সহজ করে।
- ত্বকের যত্ন: এটি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে।
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধি: ঘি খেলে শরীরের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ে।
সতর্কতা:
- মাত্রা মতো ব্যবহার: অতিরিক্ত ঘি খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
- সংরক্ষণ: ঘি সংরক্ষণ করতে শীতল ও শুষ্ক স্থানে রাখুন।
ক্রিমের ঘি এর সঠিক পছন্দ:
বাজারে ভালো মানের ঘি কিনতে যাচাই করে কিনুন। বিশেষ করে খাঁটি দুধের ঘি কিনুন, যা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর।
ক্রিমের ঘি একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার, যা রান্না থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত হয়।